গরম গরম একথালা খিচুড়ির স্বাদের কাছে অনেককিছুর স্বাদই ম্লান হয়ে যায়। খিচুড়ি খেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালির সংখ্যা কমই হবে। বিভিন্ন উপলক্ষে আমরা খিচুড়ি রেঁধে খাই। এমনকী বৃষ্টি হলেও চুলায় খিচুড়ি চাপিয়ে দিই। শুধু কি বৃষ্টির দিন? শীতের এই সময়েও খিচুড়ির আবেদন একটুও কমে না।
হাঁসের মাংস ভুনার সঙ্গে একথালা খিচুড়ি হলে আর কী চাই! তবে মাংস দিয়েই খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ডিম, মাছ, ভর্তা যেকোনো কিছু দিয়েই খাওয়া যায় খিচুড়ি। আবার অনেক সময় অন্যকিছুর দরকার পড়ে না, শুধু খিচুড়ি হলেই হয়। সাধারণ ভুনা খিচুড়ি তো খেয়েছেনই, এই শীতে রাঁধতে পারেন মটরশুঁটির ভুনা খিচুড়ি।
মটরশুঁটির উপকারিতা
শীতকালে পাওয়া যায় মটরশুঁটি। সবুজ রঙের এই শস্য নানা পুষ্টিগুণে ভরা। এতে উপস্থিত অ্যান্টিইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মটরশুঁটির অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমাতে কাজ করে।
মটরশুঁটি খেলে তা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল জমতে দেয় না। যে কারণে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা রাখে মটরশুঁটি। এসময় আপনার খাবারের তালিকায় মটরশুঁটি যোগ করুন। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মটরশুঁটির ভুনা খিচুড়ি তৈরির রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে -
যেভাবে তৈরি করবেন
মুগডাল ভেজে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন দুই ঘণ্টা। চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে নিন। এবার ডাল ও চাল থেকে পানি ঝরিয়ে নিন। সসপ্যানে ঘি ও তেল একত্রে ঢেলে গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি ও তেজপাতা দিয়ে ভাজুন। বাদামি রং হলে এর মধ্যে আদা, রসুন বাটা, গুঁড়া মসলা ও গরম মসলা দিন। এরপর ২ টেবিল চামচ পানি দিয়ে কষিয়ে নিন।
এবার কষানো মসলায় ডাল, চাল ও মটরশুঁটি দিয়ে ৭ থেকে ৮ মিনিট ভেজে বাকি গরম পানি ও লবণ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। চাল পানি সমান সমান হয়ে গেলে কাঁচা মরিচ দিয়ে আবার নেড়ে ঢেকে দিন। হাঁড়ির নিচে একটি তাওয়া দিয়ে তার ওপর হাঁড়ি বসিয়ে মৃদু আঁচে ২০ মিনিট রেখে দিন। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com