ঢাকা, বাংলাদেশ ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

কোটা সহিংসতায় নিহত ৪ সাংবাদিক, জখম দুই শতাধিক

Publish : 08:00 AM, 13 November 2024.
কোটা সহিংসতায় নিহত ৪ সাংবাদিক, জখম দুই শতাধিক
ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক :

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অসংখ্য প্রাণহানি হয়েছে। বাদ যায়নি গণমাধ্যমকর্মীরাও। সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলোর দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত চারজন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জনের মতো। গুলি বা হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ২২৪ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থা অন্তত ৬৭ জনের।

নিহত যারা: ঢাকায় নিহত হন সাংবাদিক মেহেদী হাসান ও তৌহিদ জামান প্রিয়, সিলেটে এটিএম তুরাব ও গাজীপুরে মো. শাকিল হোসেন।

হাসান মেহেদী ঢাকা টাইমস পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ছিলেন। ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতার সময় হাসান মেহেদী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

১৯ জুলাই দুপুরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে আন্দোলনের ছবি তোলার সময় ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক তৌহিদ জামান প্রিয় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

একই দিনে সিলেটে দায়িত্ব পালনের সময় নয়া দিগন্ত পত্রিকার সাংবাদিক এটিএম তুরাব গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ১৮ জুলাই দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি শাকিল হোসেন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

গুলিবিদ্ধ ও আহত যারা: ঢাকা ও ঢাকার বাইরের অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন বা সংঘাতের মাঝে পড়ে আহত হয়েছেন।  

কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার নয় জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহতরা হলেন চিফ রিপোর্টার শাহজাহান আকন্দ শুভ, ফটোসাংবাদিক মনজুরুল বাবু, মোহাম্মদ মেহরাজ ও আলামিন লিওন, স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ কাফি ও রেজাউল রেজা এবং মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মিরাজুল ইসলাম ও আকতারুজ্জামান।

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার তিনজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সাজিদ হোসেন, দীপু মালাকার ও খালেদ সরকার। তারা তিন জনই গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।

কালের কণ্ঠ পত্রিকার ছয় জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র ফটোসাংবাদিক মনজুরুল করিম, ফটোসাংবাদিক লুৎফর রহমান, শেখ হাসান ও মোহাম্মদ আসাদ। এ ছাড়া পত্রিকাটির আরো দুই জন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আহত হয়েছেন। তারা হলেন আল আমিন ও মাহাদী হাসান।

দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক আলী হোসেন মিন্টু, ক্রাইম চিফ আলাউদ্দিন আরিফ ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আকাশ। আলাউদ্দিন আরিফ জানান, ১৯ জুলাই মালিবাগ আবুল হোটেল এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তার শরীরে ছররা গুলি লাগে। ইংরেজি পত্রিকা ঢাকা ট্রিবিউনের ফটোসাংবাদিক আহাদুল করিম খান আহত হয়েছেন। সমকাল পত্রিকার দুই জন ফটো জার্নালিস্ট গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র ফটো জার্নালিস্ট সাজ্জাদ মাহমুদ নয়ন ও মামুনুর রশীদ।

দৈনিক ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টারের তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সিনিয়র ফটোজার্নালিস্ট প্রবীর দাস ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক আবির আহত হন ঢাকায়। এ ছাড়া ডেইল স্টারের সিলেট প্রতিনিধি দোহা চৌধুরী গুরুতর আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সিনিয়র সাংবাদিক রোহেত রাজীব ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় সংবাদকর্মী মাসুদ রানা হামলার শিকার হন। তার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া পত্রিকাটির সংবাদপত্র বহনকারী তিনটি গাড়ি রায়েরবাগ এলাকায় পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ ২০ জুলাই রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়। তার শরীরে ছয়টি ছররা গুলি লাগে। দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার চার জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মহুবার রহমান ও মোশারফ হোসেন ভুবন, স্টাফ রিপোর্টার নাজমুল হাসান সাগর ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক সুপন সিকদার।

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হলেন সিনিয়র ফটোসাংবাদিক আব্দুল গনি। দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার ছয় জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফটোসাংবাদিক আব্দুল হালিম, আবদুল্লাহ আল মমীন ও শেখ ফেরদৌস, সাহিত্য সম্পাদক আলমগীর রেজা চৌধুরী এবং অনলাইন ভার্সনের সাংবাদিক হুমায়ন ও আল ইমরান।

দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকার দুই জন আহত হয়েছেন। ফটোসাংবাদিক মাসুদ মিলন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১৯ জুলাই। এদিন দুপুরে পল্টনে তার শরীরের ছররা গুলি লাগে।

দৈনিক সংবাদ পত্রিকার চার জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। তারা বলেন- সিনিয়র রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান ফটোসাংবাদিক সোহরাব আলম, স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম) মাসুদ রানা ও স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম। তাদের মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার দুইজন রিপোর্টার হামলার শিকার হয়েছেন। তারা হলেন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নাহিদ হাসান। দুর্বৃত্তদের হামলার তাদের হাতে ও পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে আছে।

জনকণ্ঠ পত্রিকার চার জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছে। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক সুমন্দ চক্রবর্তী ও জসিম উদ্দিন, রিপোর্টার ফজলুর রহমান ও ঢাবি প্রতিনিধি মোজাহার।

ভোরের কাগজ পত্রিকার দুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফটোসাংবাদিক মামুন আবেদীন ও সংবাদকর্মী রাজিবুল মানিক।

আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফটোসাংবাদিক মো. আক্তার হোসেন ও সংবাদকর্মী আরিফ।

দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহিদা হাসান ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন। অপরজন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লাহ প্রতিনিধি আল আমিন প্রধান, তিনি ১৯ জুলাই গুরুতর আহত হয়েছেন।

দৈনিক কালবেলা পত্রিকার দুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার রনি রায়হান ও লিড মোজো (মোবাইল জার্নালিজম) রিপোর্টার আকরাম হোসেন।

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান পত্রিকার দুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক রিয়াজ আহম্মেদ সুমন ও সংবাদকর্মী সায়েদ হাসান শুভ।

দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকার তিন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মাসফিকুর আক্তার ও কাজী সালাহউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মেহদী মামুন।

দৈনিক ইংরেজি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার চার জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা বলেন- সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জসিম উদ্দিন, রিপোর্টার রোকনুজ্জামান মনি, ফটোসাংবাদিক রাজিব ধর ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক কাজল সিকদার।
আজকের পত্রিকার দুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফটোসাংবাদিক ফজলে এলাহী ওমর ও অন্যজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

বাংলাবাজার পত্রিকার একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন ফটোসাংবাদিক এম খোকন সিকদার।
মানবকণ্ঠ পত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন জুবায়ের আলম খাঁন। দৈনিক জনতা পত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হলেন আব্দুল হালিম। দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার একজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি হলেন এস এ মাসুম।

দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার ফটোসাংবাদিক এস এম আব্দুল্লাহ পারভেজ আল বাপ্পী আহত হয়েছেন। অর্থনীতি প্রতিদিন পত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন মাসুদ পারভেজ মিলন।

অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের পাঁচ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার আরমান ভূঁইয়া, আসাদ আবেদীন জয়, আতিক হাসান শুভ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এসএম তাওহীদ। এর মধ্যে দুই গুরুতর আহত একজন ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

অনলাইন নিউজপোর্টাল বিডিনিউজের দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। ফটোসাংবাদিক মাহমুদ জামান অভি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আসিফ জামান আহত হন। আরেক অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছে। তারা হলেন সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট জি এম মুজিবুর রহমান, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট শাকিল আহমেদ ও স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইফফাত শরীফ। সারা বাংলার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিব ও সুমিত আহমেদ সোহেল।

এ ছাড়া ডিবিসি টেলিভিশনের ১০ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার মাসুদুর রহমান, জাকারিয়া আহমেদ ও মোস্তফা মাহবুব, স্টাফ রিপোর্টার তরিকুল ইসলাম মোহন ও মোহাইমিনুল খান অপু, ক্যামেরাপারসন আলী ইমাম, কাজী জাহিদ আহমেদ, মর্তুজা নাসির, মাহমুদ আলী বাবুল ও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এরমধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ।

চ্যানেল আই টেলিভিশনের দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাকের আদনান ও স্টাফ করেসপন্ডেন্ট শহিদুল্লাহ রাজু।

নাগরিক টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ফজলে রাব্বি ও ভিডিও এডিটর রাজু হানিফ হামলায় আহত হয়েছেন। নাগরিক টেলিভিশনের সিইও দীপ আজাদ বলেন, কোটা আন্দোলনে দুর্বৃত্তদের হামলায় অনেকে আহত হয়েছে। আমাদের টেলিভিশনের একটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

বাংলাভিশন টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মামুন আব্দুল্লাহ ও ফররুখ বাবু এবং ক্যামেরাপারসন লিটন খান। এ ছাড়া একটি গাড়ি, ক্যামেরা ও বুম ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এনটিভির আট জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ করোসপন্ডেট জুনায়েদ আল হাবিব, কাইকোবাদ মাহমুদ, নাজিবুর রহমান, মেজবাহ হাসান ও শফি মাহমুদ, সিনিয়র ক্যামেরাপারসন সাব্বির হোসেন মার্শাল, ক্যামেরাপারসন আলগীর হোসেন ও হেলাল আহমেদ সজীব।

বৈশাখী টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার সাজ্জাদুর রহমান, ক্যামেরাপারসন মাহফুজুর রহমান ও গাড়িচালক মো. সুজন মিয়া। এ ছাড়া টেলিভিশনটির একটি গাড়ি পোড়ানো ও দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

একাত্তর টেলিভিশনের সাত সাংবাদিক আহত হয়েছেন, এর মধ্যে ছয় জনই গুলিবিদ্ধ। গুলিবিদ্ধরা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার নাদিয়া শারমিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ও প্ল্যানিং এডিটর মিল্টন আনোয়ার, সিনিয়র করোসপন্ডেন্ট মুফতি পারভেজ নাদির রেজা, ক্যামেরাপারসন রাসেদুল হাসান, মোহাম্মদ আহমুদুল ও আবুল কাউসার ও ওলিমুদ্দীন আহমেদ। হামলার শিকার হয়েছে ক্যামেরাপারসন বিসাদ হাসান। নাদিয়া শারমিন বলেন, হামলা-মামলা বা গুলি করে সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যম বন্ধ করা যায় না।

এটিএন বাংলা টেলিভিশনের তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের ছররা গুলি লেগেছে। তিনি হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার তরিকুল ইসলাম। আহতরা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মুশফিকুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন শফিউর রহমান প্রধান। এ ছাড়া টেলিভিশনটির তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

নিউজ২৪ টেলিভিশনের ১২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মাসুদ সুমন (তার চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে), ক্যামেরাপারসন মোফাজ্জাল হোসেন বাবলু, সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন ও তার ক্যামেরাপারসন এমদাত, রংপুর প্রতিনিধি মমিন ও তার ক্যামেরাপারসন ডেমি। এছাড়াও হামলা শিকার হয়েছেন- সিনিয়র রিপোর্টার নাঈম আল জীকু, স্টাফ রিপোর্টার মাসুদা লাবণী ও জুবায়ের সানি এবং ক্যামেরাপারসন আরফিন হোসেন, মো. মুরাদ ও আবদুস সালাম রিপন।

দেশ টেলিভিশনের দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা বলেন- স্টাফ রিপোর্টার জান্নাতুল মোহনা ও ক্যামেরাপারসন আব্দুল খালেক।

এসএ টেলিভিশনের পাঁচজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হামিদ (সোহান খান), রিপোর্টার ইসমাইল হোসেন ও রিফাত আলম শিশির এবং ক্যামেরাপারসন মোহাম্মদ হারুন ও ইব্রাহিম খলিল।
একুশে টেলিভিশনের তিন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মাহমুদ হাসান, ক্যামেরাপারসন ওয়াসিম খান ও গাড়িচালক সোহেল। এ ছাড়া টেলিভিশনটির একটি গাড়ি ও একটি ক্যামেরা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার শাহরিয়ার অনির্বান, ইজাজুর রহমান, নাজমুল সাঈদ, আল আমিন হক অহন ও নূর-এ-আলম, স্টাফ রিপোর্টার খালেদ রায়হান, ওমর ফারুখ, ইকরামুল হক, আল আমিন হোসেন ও মাহমুদুল হাসান (পারভেজ)। এর মধ্যে চার জন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

আরটিভির সাত জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- রিপোর্টার ইয়াসমিন আক্তার, তাইমুন রায়হান, দীপ্ত চন্দ্র পাল এবং ক্যামেরাপারসন স্বপন দেওয়ান, মেহেদী হাসান সুজন ও আলাউদ্দিন। এর মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ী, ক্যামেরাপারসন মিজানুর তপু ও বগুরা ব্যুরো চিফ মেহেরুল সুজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রিপোর্টার দুইজন গুরুতর আহত। এছাড়াও যমুনা টিভির ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

সময় টেলিভিশনের আট জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার তোহা খান তামিম, রিপোর্টার তানভীর হাসান মেঘ, ক্যামেরাপারসন রতন চন্দ্র মজুমদার, নিজামউদ্দিন আরফিন প্রিন্স, সুমন সরকার ও সালাউদ্দিন মামুন এবং রংপুর প্রতিনিধি (রিপোর্টার) রেজওয়ান হিমেল ও ক্যামেরাপারসন তরিকুল ইসলাম। এরমধ্যে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বাদ যায়নি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরাও। বিদেশি সংবাদমাধ্যমে কর্মরত তিনজন বাংলাদেশ প্রতিনিধি আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বেনার নিউজের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জীবন আহমেদ ও শরিফ সিয়াম ইয়ন। এ ছাড়া জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি হারুন উর রশিদ আহত হয়েছেন।

পিপলনিউজ/আরইউ

মিডিয়া বিভাগের অন্যান্য খবর

Follow Us

প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা

© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, ইসলামাবাদে ডি-চক রণক্ষেত্র শিরোনাম সংবিধান সংস্কার কমিশনে বিএনপির লিখিত ৬২ প্রস্তাব শিরোনাম চট্টগ্রামে সংঘর্ষে আইনজীবী নিহত শিরোনাম চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে যা বলল ভারত শিরোনাম কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ৭ শিরোনাম চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কারাগারে