স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজি (বিএসএম)-এর যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে পঞ্চম আন্তর্জাতিক মাইক্রোঅরগানিজম ডে উদযাপিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন এবং বিজ্ঞানমুখী চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান। অতিথি ছিলেন আইসিডিডিআরবি’র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. মনিরুল আলম। তিনি সবাইকে অনুজীব বিজ্ঞানের মানব কল্যাণে তাৎপর্য, তরুণ প্রজন্মকে অনুজীব এবং অনুজীব বিজ্ঞান সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ারা সুলতানা। তিনি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং এর প্রতিরোধে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বক্তব্যে বলেন, দিন দিন অনেক রোগজীবাণু প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করছে, যার ফলে সাধারণ সংক্রমণও এখন প্রাণঘাতী হতে পারে। অনুষ্ঠানের আরেক বক্তা ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক কমল কান্ত দাস। তিনি বক্তব্যে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে মাইক্রোবায়োলজিস্টদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন গবেষণার বিষয়ে কথা বলেন- যেখানে মেডিসিনাল প্লান্ট থেকে এন্টিবায়োটিকের বিকল্প আবিষ্কার করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, নতুন ও কার্যকর ওষুধ আবিষ্কারে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করা একান্ত প্রয়োজন বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন। তাদের মতে, আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া এই সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাইক্রোবায়োলজি গবেষণাগার প্রদর্শন করানো হয়। এ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা এবং স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য আইডিয়া প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত বিশিষ্ট অণুজীব বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণে এক প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মতামত বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞানচর্চা ও অনুজীব বিজ্ঞান সম্পর্কে নতুন ধারণা বিনিময় হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার এবং সনদ প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয়।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান আফতাব উদ্দিন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নিয়মিতভাবে এই দিবস উদযাপনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির আশা প্রকাশ করেন।
পিপলনিউজ/আরইউ
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com