নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দিতে ৭ অক্টোবর থেকে বই ছাপানোর দরপত্র উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি।
বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বুধবার (২ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আগামী রবিবারের মধ্যে সবগুলো টেন্ডার হয়ে যাবে। একটি টেন্ডার ৭ তারিখ ওপেন হবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে ওপেন হবে। তখন ঠিক হবে কারা বইগুলো ছাপানোর কাজ পাবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন স্কুলে স্কুলে উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয়েছিল। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে দুই কোটি ১২ লাখ ৫২ হাজার ছয় জন শিক্ষার্থীর হাতে নয় কোটি ৩৮ লাখ তিন হাজার ৬০৬টি বই তুলে দিয়েছিল সরকার।
এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক রিয়াদ চৌধুরী বলেন, ক্লাস ফোর, ফাইভ, সিক্সের টেন্ডার হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করব সেভেনেরটা দেওয়ার জন্য। খুব দ্রুতই সব দিতে পারব আশা করি। আমরা চেষ্টা করব যাতে সব বই জানুয়ারির আগেই দিয়ে দেওয়া যায়।
আগামী শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির বই ২০১২ সালের পুরনো সিলেবাসে ছাপানো হবে জানিয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ দুই শ্রেণির নতুন পাঠ্যবইয়ের চাহিদা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থা আমূল পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিকে ফিরছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ। মূল্যায়ন পদ্ধতি অনেকটাই জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২-এর মতো হবে।
গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বলা হয়, নানা সমস্যার কারণে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’।
এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের বাধা হিসেবে শিক্ষকদের প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবের কথা বলা হয় সেখানে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাঠ্যক্রম সংশোধন ও পরিমার্জন করে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং আগামী বছর থেকে পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আসবে।
ক্ষমতার পালাবদলের পর সংস্কারের অংশ হিসেবে আগের পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের কথা বলেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
এরই অংশ হিসেবে এনসিটিবির প্রকাশিত বিনামূল্যের প্রণয়ন করা ও ছাপানো সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয় করতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।
পরে দশ সদস্যের এ কমিটির কয়েকজন সদস্য নিয়ে সমালোচনা ও আলোচনার মধ্যে দুই সপ্তাহের মাথায় মন্ত্রণালয় ওই কমিটি বাতিল করে।
পিপলনিউজ/আরইউ
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com