এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত হবে। এবার ভিন্ন আঙ্গিকে ফল প্রকাশ করা হবে। যেখানে থাকছে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। সরকারপ্রধান বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাও ফলাফল প্রকাশের কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। সব প্রথা বা রীতি ভেঙে স্ব স্ব বোর্ড চেয়ারম্যানরা ফল ঘোষণা করবেন।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কিছু বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হলেও, বেশ কিছু পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর নম্বর এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার সাতটি বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হলেও ১৩টি বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।
আজ বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইটে একযোগে পৃথকভাবে ফল প্রকাশিত হবে। শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইটে ঢুকে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল দেখতে পারবেন। পাশাপাশি মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। তা ছাড়া নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ফলাফল টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, বাতিল পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসিতে যেসব বিষয়ের নামে হুবহু মিল রয়েছে, সেগুলোতে শতভাগ এসএসসির নম্বরই শিক্ষার্থীরা এইচএসসিতে পেয়েছেন। যদি কারো বিষয়ের ও বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) মিল না থাকে, সেক্ষেত্রে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালা’ অনুসরণ করা হয়েছে।
সাবজেক্ট ম্যাপিং যেভাবে
কোনো পরীক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে একই বিভাগের হলে ফল তৈরি এসএসসির ভিত্তিতে। কেউ যদি এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে থাকার পর এইচএসসিতে বাণিজ্য বা মানবিক বিভাগে চলে আসে সেক্ষেত্রে কীভাবে ফল নির্ধারণ করা হবে, তা নিয়ে জানার আগ্রহ বেশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
প্রথা ভেঙে ভিন্ন আঙ্গিকে ফল প্রকাশ
গত বছরগুলোতে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দিতেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী ফল প্রকাশের ঘোষণা দিতেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অথবা সচিবালয় থেকে এইচএসসির ফলাফল বিস্তারিতভাবে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতেন। এ প্রক্রিয়া এক রকম রীতি হয়ে উঠেছিল। এতে অনেক সময় ফল প্রকাশে দেরি হতো।
এবার সেই ধারায় পরিবর্তন আনছে অন্তর্বর্তী সরকার। সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে যাচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। যেখানে থাকছে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। সরকারপ্রধান বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাও ফলাফল প্রকাশের কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। সব প্রথা বা রীতি ভেঙে স্ব স্ব বোর্ড চেয়ারম্যনরা ফল ঘোষণা করবেন।
যেভাবে অনলাইনে ফল পাওয়া যাবে
ফল প্রকাশের দিন অর্থাৎ, মঙ্গলবার ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে কলেজ ছুটি। দুর্গাপূজার যে ছুটি চলমান, তা এদিনও থাকবে। ফলে কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি থাকবে না। সেদিক বিবেচনায় অনলাইনে কীভাবে ফলাফল জানা যাবে, তা বিস্তারিত জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী-এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজি অক্ষরে এইচএসসি লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখতে হবে। এরপর ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
উদাহরণ- HSC DHA ১২৩৪৫৬ ২০২৩ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। সঙ্গে সঙ্গেই ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল জানতে শিক্ষার্থীকে প্রথমে www.educationboardresults.gov.bd-এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে থাকা ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সাবমিট করলেই শিক্ষার্থীরা তার পুরো রেজাল্ট শিট দেখতে পাবেন।
কপাল পুড়ছে এইচএসসির লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর
জানা গেছে, এবার নয়টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে সব মিলিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন ৯৬ হাজার ৯৯৭ জন। আর বহিস্কার হয়েছেন ২৯৭ জন। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে কিংবা বহিস্কার হলে সামগ্রিক ফলাফল ফেল আসে। সে হিসেবে এবার লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর কপাল পুড়ছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দিনের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১৫ হাজার ২০৩ জন। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এদিন ৪৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়।
এইচএসসির দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় সাধারণ বোর্ডে অনুপস্থিত ১০ হাজার ৪৪০। এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে তিন হাজার ২৬৯ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক হাজার ৩৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। সবগুলো বোর্ড মিলিয়ে দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায় ২৯ জনকে বহিস্কার করা হয়।
গত ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত এইচএসসির তৃতীয় দিনের পরীক্ষায় সব মিলিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন ১৬ হাজার ২৭০ জন। আর বহিস্কার কর হয় ৫৯ জনকে। অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আটটি সাধারণ বোর্ডে ১২ হাজার ৪৫৯ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে তিন হাজার ৩৩০ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৪৮১ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
এইচএসসি ও সমমানের চতুর্থ দিনে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১২ হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থী। আর অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৭৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
এইচএসসি ও সমমানের পঞ্চম দিনের পরীক্ষায় সারা দেশে অনুপস্থিত ছিল ১৩ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থী। আর অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
এইচএসসি পরীক্ষার ষষ্ঠ দিনে সারাদেশে ১০ হাজার ৪০২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত এবং ৫২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। সপ্তম দিনে নকল করার দায়ে মোট ১৬ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ দিন সারা দেশে অনুপস্থিত ছিলেন ১৩ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থী।
অটো পাস করালে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থীর ফলাফল অবমূল্যায়ন করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সবাইকে পাস করাতে হবে মর্মে কিছু শিক্ষার্থীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সবাইকে অটো পাস করিয়ে দিলে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়েছে, তাদের ফলাফলকে অবমূল্যায়ন করা হবে। তিনি সোমবার (১৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার আসন্ন ঘোষিতব্য ফলাফলের বিষয়ে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছে, সবাইকে পাস করাতে হবে।’
এবারের এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো নিতে পারলেই ভালো হতো উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজধানীর সচিবালয়ে একটা অনভিপ্রেত পরিস্থিতির মধ্যে কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দিতে হয়েছিল। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখন পূর্বেকার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এইচএসসির যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল, তার সঙ্গে এসএসসি–সম্পর্কিত বিষয়ের ফলাফল সমন্বয় করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করেছে বলে আমাকে জানিয়েছে।’
এসএসসিতে যারা কোনো বিষয়ে অনুত্তীর্ণ হবার কারণে পরবর্তী বছরে আবার পরীক্ষার সুযোগ নিয়েছে, সে ফলাফলও নেওয়া হয়েছে। কাজেই চূড়ান্ত ফলাফলে যারা উত্তীর্ণ হবে না, তারা বঞ্চিত হয়েছে বলা যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাইকে এখন অটো পাস করিয়ে দিলে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যে শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হয়েছে, তাদের ফলাফলকে অবমূল্যায়ন করা হবে। কাজেই এ ধরনের দাবির কোনো যৌক্তিকতা দেখি না।’
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির প্রধান এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, দুই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাতিল পরীক্ষাগুলোর ফল তৈরি করেছি আমরা। প্রথমত খুবই সরল একটি প্রক্রিয়া, সেটি হলো-এসএসসিতে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থী যে নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই নামে বিষয় থাকলেই তাতে এসএসসির প্রাপ্ত নম্বর পেয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত প্রক্রিয়াটিও খুব জটিল নয়। এটি করোনাকালে ফল তৈরিতে যে সাবজেক্ট ম্যাপিং ছিল, সেটা অনুসরণ করে করা হয়েছে। এতে কেউ বঞ্চিত হবে না।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এবার আগের সিস্টেমে ফল প্রকাশ হবে না। সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ফল প্রকাশ করা হবে। সরকারের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফল প্রকাশের অনুষ্ঠান করবেন না। আমরাও কোনো কথা বলবো না।
তিনি বলেন, ঠিক বেলা ১১টায় সব বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেলেও শিক্ষার্থীরা ফল পাবেন। আর ১১টি বোর্ডের সমন্বিত যে ফল, তার সংক্ষিপ্তসার ঢাকা বোর্ড থেকে দেওয়া হবে। কোনো সংবাদ সম্মেলন বা ব্রিফিং করবো না আমরা। শুধু ফলাফলের সারসংক্ষেপটা আমরা সাংবাদিকদের দিয়ে দেবো।
ফলাফল প্রকাশের নতুন রীতি সম্পর্কে তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এটি সাবজেক্ট ম্যাপিং নীতিমালায় স্পষ্ট করে বলা আছে। ধরুন- কেউ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি দিয়েছিল। তিনি সেখানে পদার্থবিজ্ঞানে ৮৫ নম্বর পেয়েছিল। এবার তিনি এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে চলে এসেছেন। তার হয়তো পদার্থবিজ্ঞানের জায়গায় পৌরনীতি বা সমাজকল্যাণ আছে। অথবা অন্য কোনো বিষয়। তাকে পৌরনীতিতে এবার পদার্থবিজ্ঞানে এসএসসিতে যে নম্বর ছিল, সেটি পুরোটা দেওয়া হবে। একইভাবে কেউ এসএসসিতে উচ্চতর গণিত পড়েছেন, পরীক্ষা দিয়েছেন এবং তাতে ৭৫ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু এইচএসসিতে তিনি বাণিজ্য বিভাগে চলে এসেছেন। তাহলে তাকে উচ্চতর গণিতের ওই নম্বরটি হিসাববিজ্ঞান বা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দেওয়া হবে। এভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা পরীক্ষার্থীদের কোন বিষয়ের পরিবর্তে কোন বিষয়কে ধরা হবে, তা নীতিমালায় আছে। কেউ এতে বঞ্চিত হবেন না।
তিনি আরো বলেন, এটি নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা বা রহস্য সৃষ্টির সুযোগ নেই। আমাদের করোনাকালীন ফল প্রকাশের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি, টেবুলেশন শিট তৈরি ও মাঝপথে পরীক্ষা বাতিল হওয়ার বিষয়ে বোর্ডের সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালা মেনেই বোর্ড ফল প্রস্তুত করেছে। কেউ বঞ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই।
এবারের এইচএসসিতে সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। অন্যদিকে, আলিম পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল দুই লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী-আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
সূচি অনুযায়ী-মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করা হয়।
পিপলনিউজ/আরইউ
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com