ঢাকার সাভারের ধামরাইয়ে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার জন পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন শ্রমিক। তাদের ১০-১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া-কালামপুর সড়কের খাগুর্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ধামরাইয়ের গ্রাফিক্স টেক্সটাইলের একটি শ্রমিকবাহী বাস খাগুর্তা এলাকায় গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইটবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিন জন নারী ও এক জন পুরুষ শ্রমিক নিহত হন; আহত হন অন্তত ৪০ জন।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেন।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের বড় জেঠাইল গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে পোশাকশ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম (২৬)। অপর নিহত তিন নারী পোশাক শ্রমিকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের লাশ পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছে।
অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দুনিগ্রাম এলাকার খবুর উদ্দিনের মেয়ে নিপা আক্তার (২৮) নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে বাস চালক ছানোয়ার হোসেনের (৩৮) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বালিয়া ইউনিয়নের দুনিগ্রাম এলাকার আওলাদ ফকিরের ছেলে।
ওই পোশাক কারখানার শ্রমিক, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রাফিক্স টেক্সটাইল পোশাক কারখানাটি রাত ৯টায় ছুটি হয়। স্টাফ বাসে করে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছিলেন। বাসটি ধামরাই-সাটুরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের খাগুর্তা এলাকায় পৌঁছালে অপরদিক থেকে আসা ইটভর্তি একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন নারী শ্রমিক নিহত হন। আহত হন বাসের আরো অন্তত ৪০ জন শ্রমিক। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক পোশাকশ্রমিক কালামপুর পপুলার ডিজিটাল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই পোশাক কারখানার শ্রমিক মনির হোসেন বলেন, নিহত জাহাঙ্গীর আলম আমার মামাতো ভাই। আমরা দুইজনই গ্রাফিক্স টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করি। আমি পেছনের বাসে ছিলাম। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমি তিন নারী শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করি। তাদের পরিচয় জানতে পারিনি। আর আমার মামাতো ভাই হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, ১০-১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তিন নারীর লাশ তার স্বজনরা নিয়ে গেছেন। পরে হাসপাতালে নিহত জাহাঙ্গীর আলমের লাশও তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পিপলনিউজ/আরইউ
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com