চা শুধু আমাদের ক্লান্তিই দূর করে না, এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারও করে। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে নীল রঙের চা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেননা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। নীল চা হার্ট এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি-ক্যানসার প্রভাবের জন্য পরিচিত।
নীল চা কি?
নীল চা, বাটারফ্লাই মটর ফুলের চা নামেও পরিচিত। বাংলালাদেশে এটি অপরাজিতা ফুল নামে পরিচিত। এটি দক্ষিণ এশিয়া থেকে এসেছে। ক্লিটোরিয়া টারনেটিয়া এল উদ্ভিদের উজ্জ্বল নীল পাপড়ি থেকে এ চা তৈরি করা হয় যা প্রাকৃতিক খাদ্য রং হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য সাধারণ নাম হল কর্ডোফান মটর এবং এশিয়ান কবুতরের ডানা।
নীল চা পানের উপকারিতা কি?
নীল চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, বিশেষ করে অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিকেল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করে।
নীল চায়ে প্রদাহ বিরোধী গুণাবলী রয়েছে। এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এই চা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরে অতিরিক্ত তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।
নীল চা এর শিথিল এবং স্ট্রেস উপশমকারী প্রভাবগুলোর জন্য সুপরিচিত। মস্তিষ্কের রাসায়নিকের সাথে এর সম্ভাব্য মিথস্ক্রিয়া উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যেসব সমস্যার সমাধান করে
নীল চায়ের ফ্ল্যাভোনয়েড ত্বকের কোমলতা বাড়ায় এবং সংরক্ষণ করে। প্রতিদিন এক কাপ নীল চা পানে শরীরের অপাচ্য খাদ্য কণাকে ফ্লাশ করতে, নিস্তেজ বর্ণকে উজ্জ্বল করতে এবং কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
এটিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি উপাদান রয়েছে, যা মাথায় রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং মাথার ত্বকের ভাল কার্যকারিতা সমর্থন করার জন্য সুপরিচিত।
ত্বকে সম্ভাব্য অ্যান্টি-এজিং সুবিধা এবং সাধারণ জীবনীশক্তির কারণেও ব্যবহৃত হয় নীল চা।
কিভাবে নীল চা বানাবেন?
এক কাপ নীল চা তৈরি করতে শুধুমাত্র কয়েকটি সাধারণ উপাদান প্রয়োজন। শুধু কিছু শুকনো লেমনগ্রাস এবং নীল মটর ফুলের পাপড়ি ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য জলে ফুটিয়ে নিন। খাবার আগে এই ভেষজ মিশ্রণটি কিছু মধুর সাথে মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। হজমে সাহায্য করতে এবং ভালো ঘুমের জন্য খাওয়ার পর আপনি ঠান্ডা নীল চা পান করতে পারেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com