১. নতুন চেষ্টা আহ্বান
নিরাপদ জেল ভেঙ্গে পালানো গেলো না। কারণ ততোক্ষণে নৌকা ডুবে গেছে নষ্ট হয়েছে লোভের ফসল। তবে কি আমার লোভ আমার অহম পতনের দারপ্রান্তে ঠেরে নিয়ে যায়। আমার বন্ধুরা তো এখনো টেনে নামানোর চেষ্টা করছে।অথচ পিপীলিকারা তার বন্ধুদেরকে স্বজনদেরকে কাছের পিপড়াজনকে এগিয়ে নিয়ে যায়, ঠেলে দেয় স্বপ্ন সমান সাফল্যের দিকে।
মানুষ তুমি একবার পিপীলিকা হবার চেষ্টা করে দ্যাখো।
২. নিরাপদ জেল
হোয়াইট বোর্ড এখন আমাদের প্রয়োজন ব্ল্যাক বোর্ড। এখানে লিখতে লিখতে একদিন সূর্য ফোটে লাল। পদ্মবিলে ফুটে থাকা চাঁদও ফোটে চক্ররির আঁচড়ে। কিন্তু তোমরা যারা হোয়াইট বোর্ডে লেখো তাদের মনভরা অন্ধকার, মাথাভরা ডেমোক্রেসির গ্যাস। তোমাদের ডোমোক্রেসি মানে লির্বাটি অব স্টাচু। স্টাচু মানে প্রজাদের মুখ বাঁধা পৃথিবীর ছবি। তারচেয়ে ঘরের ভেতরে ঘর নিরাপদ জেল সেও ভালো। আমি আমার আত্মরচিত জেলখানায় ব্ল্যাকবোর্ডে সাদা খড়ির হরফ সাজাই।
৩. প্রজাদের ফোঁস
বীরাঙ্গনা তারাবানু মরে যায় তোমাদের লোভের কারণে। অথচ তোমরা প্রহসনের ভোট করো, জোট গড়ো, নোট ছাপো ইচ্ছে মতো। তোমাদের প্রেস নোটে ভেসে যায় দেশ ও বিদেশ। তোমাদের ধর্মকর্ম তাহাজ্জুদ দেখে ইবলিশ রিটায়ার্ড করে পরিপূর্ণ লজ্জায়। শয়তানও মুখ লুকিয়ে পড়ে থাকে গনভবনের কোনায়। অথচ কোনায় কোনায় বেড়ে ওঠে প্রজাপতি বর্ণিল ক্ষোভ। প্রজাদের বাচ্চারা ফুঁসতে থাকে বাঘের মতোন।
এইসব ছায়াছবি নিরাপদ বসে উপলব্ধি করি।
৪. সদানন্দ নাটিকা প্রহসন
কাঠের ঘানিভাঙা সরিষার মতো আমাকে আমি প্রতিদিন ভাঙতে দেখি। যেভাবে তছনছ হয়ে যায় কৃষিজীবি প্রজার মনন, তছনছ হয়ে যায় ঘামগলা শ্রেমের লবন। অথচ রাজারা রাজকীয় শীর্ষ চূড়ায়-ভোটের পোস্টারে সেবা করার সুযোগ প্রার্থনা করে মানুষ মারার শিশমহল সাজিয়ে তোলে আর লোলুপ পর্বতে চড়ে রক্তাক্ত পৃথিবীর হাহাকার দ্যাখে। মানুষের হাহাকারে রাজকীয় দেহে কোনো ব্যথাবোধ নেই, নেই কোনো আফসোস সাধারণ প্রজার নামে।
তবে কি প্রজারা কেউ নয় কিছু নয় প্রহসন ছাড়া?দীনবন্ধু মিত্র কবে মরে গেছে তবু তার নীলদর্পণ আমাদের সংসদে- আদালতে-রাষ্ট্রীয় ঘরে মিডিয়ার বাক্স হয়ে সদানন্দ নাটিকা বানায়।
গ্যালারির দর্শক হয়ে আমিও কি প্রতিদিন প্রজাদের মতো আর এক প্রজা হয়ে ওঠি?
৫. নিবিড় কয়েদখানায়
আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার গল্প অনেক শুনেছি। কচুগাছ কাটতে কাটতে ডাকাত হয়ে ওঠার কাহিনিও অজানা নয়। কিন্তু রাজনীতি করতে করতে ডাকাত হওয়া কিংবা ডাকাতি করতে করতে রাজা হওয়া তাও খুব বেশি নতুন নয়। চোরের হাতে পড়া এইসব ডোমেক্রেসির চেহারা পৃথিবীর নিরীহ মানুষ খুব ভালো করে জানে। জানে আরও অনেক কিছু। কম্বল চুরির কথা না হয় না-ই বললাম। আমি না বললেও বঙ্গবন্ধুর মুখ তো আর চেপে রাখা যাবে না। তাহলে তো দেশি বিদেশি মিডিয়া আমাকে চেপে ধরবে।
ধরবে, কারণ আমি কোনো আঙুল ফোলা রাজকীয় কলাগাছ নই। মশা-মাছির চেয়েও অধম এক প্রজা আমি, আমাদের নিরীহ নিবিড় কয়েদখানায়।
পিপলনিউজ/আরইউ
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com