অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় বাধা হবে না। তবে যারা শিল্প চর্চা করছে তাদেরও সচেতন হতে হবে। কুরুচিপূর্ণ, জঘন্য তথ্য যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, তাহলে সমস্যা হবে। বিপ্লবের চেতনা বুঝতে হবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রথম দিন যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ফারুকী বলেন, নাটক হচ্ছে, যাত্রা হচ্ছে কেউ তা বন্ধ করেনি। তার স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় ও সমালোচনা প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, কোনো ধরনের উসকানিমূলক কোনো প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না। আপনারা আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করলে আমি জবাব দেব। কিন্তু যে প্রশ্ন উসকানি তৈরি করে এমন প্রশ্ন করবেন না।
এরপর শিল্পকলায় নাটক বন্ধ করা উগ্রবাদী অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফারুকী বলেন, আমি বিষয়টি জানি। তিনি বলেন, জুলাইতে জনতা বিজয়ী না হতো তাহলে আমি আজ এখানে থাকতাম না জেলে থাকতাম। এমন আমাদের অনেকের সঙ্গেই হতো। যারা জুলাইতে গণহত্যা চালিয়েছে সরকার তাদেরও বিচার করবে। যারা সরাসরি এটির সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচার হবে। এখন হত্যার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য ফিফথ হ্যান্ড অপরাধীরা যদি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে তাহলে সেটা সামগ্রিকভাবে সংস্কৃতির জন্য ভালো কিছু না।
সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে যা বলা হচ্ছে-এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। ২০১৩ সালে আমাকে বলা হতো জামায়াত-শিবির। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তখন বলেছিলাম, এই চেতনা দিয়ে কী করবো। সে সময় আমাকে শিবির বলা হয়েছিলো। কেউ মনে করে জামাতি, কেউ বিএনপি, কেউ আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমি কারো লোক নই। আমি আমার। আমি কারো প্রতি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিইনি।’
এদিকে রবিবার (১০ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ফারুকী লিখেছেন, ‘আমি কখনো কোনো আনুষ্ঠানিক জিনিসে যাইনি! যাই হোক আজ শপথ নিলাম দেশের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা হিসেবে সেবা করার! শুধু এই কারণেই। প্রথমত, দেশের জন্য কিছু করার প্রেরণা সবসময় থাকে যা অপ্রতিরোধ্য। দ্বিতীয়ত, প্রফেসর ইউনূসের সহকর্মী হওয়া সবসময় প্রলুব্ধকর!’
এদিকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে উপদেষ্টা করায় দেশের অনেক স্থানে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটি। এ সময় সংগঠনের নেতারা সেখ বশির উদ্দিন ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উপদেষ্টা হওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন।
পিপলনিউজ/আরইউ
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com