ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কিয়ের থিলভিগ মিস ইউনিভার্সের এবারের আসরে সেরার মুকুট জিতেছেন। ২১ বছর বয়সী এই তরুণী বিশ্বের ১২০ জনেরও বেশি প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছেন।
সিএনএন লিখেছে, শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতা। ভিক্টোরিয়া এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ডেনিশ বিজয়ী। ভিক্টোরিয়া একাধারে নৃত্যশিল্পী, উদ্যোক্তা এবং ভবিষ্যৎ আইনজীবী।
এবারের আসরে প্রথম রানারআপ হয়েছেন নাইজেরিয়ার চিদিম্মা আদেতশিনা আর দ্বিতীয় রানারআপ মেক্সিকোর মারিয়া ফার্নান্দা বেলট্রান।
মুকুট গ্রহণের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান মিস ইউনিভার্স শেইনিস প্যালাসিওস। মিস ইউনিভার্সের এই জমকালো আয়োজনে গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী রবিন থিক এবং উপস্থাপনায় ছিলেন মারিও লোপেজ ও প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স অলিভিয়া কালপো।
প্রাথমিক রাউন্ডে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই ৩০ প্রতিযোগী থেকে সেমিফাইনালের তালিকা করা হয়। তাদের নিয়ে সাঁতারের পোশাকে প্যারেড হয় এবং গাউন প্রতিযোগিতা হয়। সেখান থেকে চূড়ান্ত পাঁচ প্রতিযোগীর প্রশ্নোত্তর পর্বে পাঠানো হয়।
নেতৃত্বের গুণাবলি ও মনোবলের দৃঢ়তার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় সকলকে। সেখানে থিলভিগকে প্রশ্ন করা হয়, কেউ যদি আপনাকে মূল্যায়ন না করত, তাহলে আপনি কীভাবে জীবনযাপন করতেন? উত্তরে থিলভিগ বলেন, আমি কিছুই বদলাতাম না, কারণ আমি প্রতিটি দিনকে উপভোগ করি।
দর্শকদের উদ্দেশ্য করে নতুন এই মিস ইউনিভার্স বলেন, যে যেখান থেকেই আসুন না কেন, কখনো হাল ছাড়বেন না। আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি কারণ আমি পরিবর্তন চাই এবং আজ আমি ইতিহাস তৈরি করছি।
মিস ইউনিভার্সের শীর্ষ পাঁচে আরো ছিলেন থাইল্যান্ডের সুচাটা চুয়াংস্রি এবং ভেনেজুয়েলার ইলিয়ানা মার্কেজ পেড্রোজা। পেড্রোজা, যিনি একজন ২৮ বছর বয়সী মা।
মিস ইউনিভার্সের ৭২ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ২৮ বছরের বেশি বয়সী নারীদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ বছর মাল্টার বিট্রিস এনজোয়া নামের এক নারী ৪০ বছর বয়সে গ্র্যান্ড ফাইনালে পৌঁছে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
২০২৩ সালে এই প্রতিযোগিতাকে আরো আধুনিক করে তুলতে গর্ভবতী নারী, মা এবং বিবাহিত নারীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়।
এই বছর মেক্সিকো সিটির এরেনা সিউদাদ ডি মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় কিউবা প্রায় পাঁচ দশক পরে অংশগ্রহণ করে। এর পাশাপাশি বেলারুস, ইরিত্রিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করে। তবে সৌদি আরবের অংশগ্রহণ নিয়ে ছড়ানো গুজবকে ভুল ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করে মিস ইউনিভার্স সংগঠন।
জাতীয় পর্যায়ের কিছু প্রতিযোগিতা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দক্ষিণ আফ্রিকার মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা, যেখানে নাগরিকত্ব বিতর্কের কারণে আদেতশিনা প্রতিযোগিতা ছেড়ে দেন এবং পরে নাইজেরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, নিকারাগুয়ার মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার পরিচালক ক্যারেন সেলেবার্তি মুকুট বিতরণের কয়েক সপ্তাহ পরই পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে সরকারের প্রতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল।
পিপলনিউজ/আরইউ
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com