কমনওয়েলথ বাংলাদেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস গ্যাব্রিয়েল ফ্রান্সেসি।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন বাংলাদেশ সফররত কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দলের প্রধান।
কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দলের ছয় সদস্য নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে এই বৈঠকে অংশ নেন। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশন এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।
বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিনিধি দলের প্রধান প্রফেসর লুইস বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সংস্কার কমিশনকে সব ধরনের সহোযোগিতা করতে আগ্রহী কমনওয়েলথ।
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দল। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে তারা সব ধরনের সহোযোগিতা করতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, আমরা যদি চাই তারা সহায়তা করবেন। কোনো প্রেসক্রিপশন নিয়ে তারা আসেননি। কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার জন্য আসেননি। তাদের সঙ্গে অনেক বিষয়ে মতামত আদান-প্রদান হয়েছে।
লুইস গ্যাব্রিয়েল ফ্রান্সেসি বলেন, আমরা সর্বদা কোনো দেশে আসি শিখতে, শুনতে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা করতে। আমরা রিকমেন্ডেশন করি এবং তা বাস্তবায়নে সহায়তা করি। আমাদের ভালো আলোচনা হয়েছে কমিশনের সঙ্গে। আমাদের একটি চমৎকার দল এখানে এসেছে রিফর্মের জন্য। রিফর্ম বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ হবে একটি সফল গল্প কমনওয়েলথের জন্য।
তিনি বলেন, দুই দশমিক সাত বিলিয়ন মানুষ রয়েছে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশে, যাদের ৬০ শতাংশ হচ্ছে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে। তারা সর্বদা অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি মনে করি এটি একটি শিক্ষা হতে পারে। আমরা অন্য দেশ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে সহায়তা করতে পারি এবং বাংলাদেশও অন্য দেশকে একইভাবে সহায়তা করতে পারে। আমি মনে করি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনই হচ্ছে লক্ষ্য, যেখানে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হবে।
সুনির্দিষ্ট রিকমেন্ডেশন আছে কিনাÑ এমন প্রশ্নে কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব বলেন, না, এটি আসবে সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে। আমরা তাদের সহায়তা করতে পারি। আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য আসিনি। আমরা শিক্ষা নেওয়ার জন্য আসি এবং সহায়তা করি ৫৬টি দেশকে।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ৩ অক্টোবর ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’ গঠন করে। ৯০ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে আট সদস্যের এই কমিশনের।
দেশে আগামীতে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং নিরপেক্ষ জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিদ্যমান নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে মতামত নিচ্ছে সংস্কার কমিশন।
পিপলনিউজ/আরইউ
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com