‘বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে জনপ্রতি এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে, এজন্য শাহবাগে বিশাল সমাবেশে জড়ো হতে হবে‘- এমন কথা বলে রাজধানীর শাহবাগে লাখো মানুষের সমাবেশ করার চেষ্টা করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে।
এ সমাবেশে আসার আহ্বানসম্বলিত লিফলেটে সংগঠনটির আহ্বায়ক হিসেবে নাম ছাপা হয় আ ব ম মোস্তফা আমীনের। তাকে রাজধানী থেকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। মোস্তফা ফরওয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। তিনি গত ১৫ নভেম্বর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেন, ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ নভেম্বর ২০২৪ শাহবাগ মোড়ে, সকাল ১০টায়। ইতিহাসে নাম লিখান।’
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত থেকে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ব্যানারে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস, ট্রাক, পিকআপে করে মানুষ জড়ো হতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এবং শাহবাগ এলাকায়। তবে পুলিশ এবং শিক্ষার্থীরা তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন। জেলা থেকে আসা মানুষদের ঢাকার পথে বিভিন্ন মহাসড়কে ঢাকায় আসতে নিরুতসাহিত করা হয়।
এদিকে ঢাকায় ও সারাদেশ থেকে ঢাকায় আসার পথে অনেককে আটক করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কিংবা কোনো মামলার আসামি হলে তাদের অনেককে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, গাইবান্ধা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, যশোর, ঝিনাইদহ, কিশোরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুরসহ অনেক জেলা থেকে মানুষ ঢাকামুখী হন। সমাবেশটি সোমবার (২৫ নভেম্বর) হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ অবশ্য সমাবেশের কোনো অনুমতি দেয়নি।
এ সমাবেশের প্রচারের একাধিক লিফলেট ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ‘লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করবো, বিনা সুদে পুঁজি নেবো‘- এমন লেখাও ছিল।
প্রলোভনে পড়া লোকজন বলছেন, সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। শাহবাগে যারা উপস্থিত হবেন, তাদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে।
পুলিশ ও শাহবাগে আসা লোকজন বলছেন, এমন প্রলোভনে পড়ে রবিবার দিবাগত রাত একটার পর সারা দেশ থেকে বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসতে শুরু করেন।
সোমবার সকাল সাতটার দিকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচণ্ড যানজট দেখা যায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পুলিশ আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বাসে আসা বেশ কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বেশির ভাগই জানেন না, শাহবাগে ঠিক কী হবে। তারা জানান, তাদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে, এমন কথা বলা হয়েছে। এ জন্যই তারা এসেছেন।
কয়েকজন ব্যক্তির ভাষ্য, তাদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ এক হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, একটি চক্র কৌশলে রাতের আঁধারে ঢাকার শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা দখলের পাঁয়তারা করেছিল। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
২৫ নভেম্বর ‘রাজধানীর শাহবাগে মহাসমাবেশ’ লেখা ব্যানারও দেখা গেছে জড়ো হওয়া লোকজনের গাড়িতে।
আ ব ম মোস্তফা আমীন নামে এক ব্যক্তির নামে লিফলেট পাওয়া গেছে তাদের কাছে। যেখানে মোস্তফা আমীনকে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি লিফলেটে সমাবেশের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৮ আগস্ট, স্থান-শাহবাগ মোড়।
তবে আরেকটি লিফলেটে ২৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়েছে।
ভুয়া গণঅভ্যুত্থান ও প্রতিবিপ্লবের ডাক দেওয়া চক্রের হোতাদের খুঁজে বের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুল হক বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা আর পুলিশ প্রশাসন কী করে? আমরা শুনেছি, ঢাকা শহরে রবিবার রাত থেকে শুরু করে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৮০০ বাস প্রবেশ করেছে। শাহবাগে আন্দোলন করার জন্য বাস ভর্তি লোক নিয়ে আসা হচ্ছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের টিএসসি থেকেই প্রায় শতাধিক গাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছি।
রাত ৩টার দিকে গাড়ি ফেরানো অবস্থায় পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের সংগঠনটি আমাদের কাছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করার জন্য অনুমতিও চেয়েছিল। আমরা তাদের অতীত ঘেঁটে দেখলাম অতীতেও তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এরা এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাধারণ লোকদের থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সারাদেশ থেকে তারা লোকজন নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা রাত থেকেই বাসের মানুষগুলো প্রতারণার শিকার হয়েছে এটি বুঝিয়ে ফেরত পাঠাচ্ছি। কিন্তু একের পর এক বাস আসছেই। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাহিন বলেন, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন শাহবাগে অনেক মানুষ জমায়েত করার জন্য অনুমতি চেয়েছিল। পুলিশ অনুমতি দেয়নি। সংগঠনটি গ্রামের লোকজনকে প্রলোভন দিয়েছিল, যারা এই সমাবেশে আসবেন, তাদের এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। পুলিশ লোকজনকে জড়ো হতে দেয়নি।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০০ লোককে আনার চেষ্টা
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে অন্তত ২০০ লোককে চারটি বাসে করে ঢাকায় জড়ো করার চেষ্টা হয়েছে। সোমবার সকালে বন্দর থানা পুলিশ মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে তল্লাশি চালিয়ে চারটি বাস জব্দ করে। চারটি বাসে অন্তত ২০০ লোককে ঢাকায় জড়ো করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এ ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় বিভিন্ন যানবাহনে কড়া নজরদারি ও তল্লাশি করে পুলিশ।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা মদনপুর থেকে চারটি বাস জব্দ করেছি। বাসগুলোতে অন্তত ২০০ লোককে ভুল বুঝিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তদন্ত করে দেখছি। পরে আরো বিস্তারিত জানাতে পারবো। আমরা দেখছি, আরো কোনো পরিকল্পনা তাদের ছিল কিনা।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ঢাকায় একটি মহলের আহুত সমাবেশের খবরে আমরা সাইনবোর্ডে আসি। তল্লাশি করি। কোনো ধরনের নাশকতাকারী যেন কোনো পরিকল্পনা করতে না পারে সেজন্য আমাদের নজরদারি ছিল।
টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে আটক ১৩
টাঙ্গাইলের ভুঞাপুওে ঢাকায় আসার পথে ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া মধুপুরে একটি বাস থেকে ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ভুঞাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই ১৩ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় কালো রঙের একটি হাইয়েস (মাইক্রোবাস) জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া বিকালে সাভার থেকে জামালপুর যাওয়ার সময় মধুপুর থেকে একটি বাসে থাকা ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এদিকে বিকালে জেলার মধুপুরে একটি বাস থেকে নারী ও পুরুষসহ ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তারা ভোরে জামালপুর থেকে ওই বাসে ঢাকায় সমাবেশে যোগদান করার জন্য গিয়েছিল।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল কবির বলেন, ওই বাসে থাকা ৪০ জন ভোরে জামালপুর থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিল। যে ব্যক্তির মাধ্যমে ঢাকায় যাচ্ছিল সাভারের নবীনগরে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তির নম্বর বন্ধ থাকায় তারা আর ঢাকায় যায়নি। পরে তারা নবীনগরে স্মৃতিসৌধে ঘুরে জামালপুরে ফেরার পথে মধুপুরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ঢাকায় যাওয়ার পথে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাঁইচা ফিরা আইছি হেইডাই কথা
‘বিনাসুদে এক লাখ থেকে কোটি টাকা ঋণ দিবো কইয়া ঢাকায় নিয়া গেছে। আমরা কি জানি ওইহানে আন্দোলন হইবো। বাস থাইক্যা নামতেও পারি নাই, ওই হানে (শাহবাগে) যাওয়ার পরই দেখি মারামারি হইতাছে। কয়জন ছাত্র আমাগো বাসে উইঠা কয়জনরে লাঠি দিয়া বারি দিছে, অনেকে মাইরও খাইছে। টাকা তো বড় কথা না বাঁইচা ফিরা আইছি হেইডাই কথা।’
সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে মানিকগঞ্জ বেগম জরিনা কলেজ এলাকায় দবির হোসেনের বাসার সামনে কথাগুলো বলছিলেন সদর উপজেলার মালঞ্চ গ্রামের রোকসানা আক্তার। তিনিও বিনাসুদে ঋণ পাওয়ার আশায় শাহবাগে গিয়েছিলেন।
ঢাকায় লোকজন জমায়েত করার অভিযোগে ওই কলেজের সামনে থেকে প্রতারক দবির হোসেন, দবিরের স্ত্রী চামিলী আক্তার ও হাসিনা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও সিংগাইর থেকে জহুরা বেগম ও দেলোয়ার হোসেন নামে আরো দুইজনকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিনা সুদে ঋণ পাওয়ার প্রলোভনে ঢাকায় আসার জন্য গতকাল সকাল ৬টার দিকে অনেকে জরিনা কলেজের পাশে দবিরের বাসার সামনে জড়ো হন। পরে দবির ও হাসিনা আক্তার আগত মানুষদের সাতটি বাসে করে ঢাকার শাহবাগের উদ্দেশ্য রওনা হন। শাহবাগ যাওয়ার পরে পরিস্থিতি খারাপ দেখে ওই বাসে করেই মানিকগঞ্জ ফিরে আসেন তারা। এরপরই দবির হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করে এসব সাধারণ মানুষ। পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে। ভুক্তভোগী নাজমা বেগম বলেন, ড. ইউনূসের একটি সমাবেশ আছে ঢাকায়। সমাবেশ শেষে নিরীহ সাধারণ মানুষকে সুদমুক্ত এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হবে। এই বিষয়টি দবির, হাসিনা ও তার স্ত্রী চামিলী আমাদের জানালে আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দবিরের অফিসে এসে দিয়ে যাই। এ সময় আমাদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে নেওয়া হয়। দবির এলাকার লোক, তাকে আমরা আগে থেকেই চিনি। এজন্য তার কথায় আমরা প্রলুব্ধ হয়েছি।
খাদিজা বেগম, লতা সাহা, বিলকিস বেগম, আলো আক্তার নামের ভুক্তভোগীরা বলেন, গাড়ি থেকে ঢাকার শাহবাগে নামার পর স্থানীয় লোকজন আমাদের মারধর করেন। পুলিশ আমাদের গাড়িগুলো ফিরিয়ে দেয়, আমরা মানিকগঞ্জে ফিরে আসি। আমরা টাকা ফেরত পাইনি। দবিরসহ সবার সুষ্ঠু বিচার দাবি চাই।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. আমানুল্লাহ বলেন, প্রতারক দবির হোসেন, হাসিনা আক্তার ও দবিরের স্ত্রী চামিলী আক্তারকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুরে বাসসহ ৭ গাড়ি জব্দ
ঢাকায় সমাবেশে যোগ দিতে লক্ষ্মীপুরের হতদরিদ্র মানুষদেরও প্রলোভন দেখানো হয়।
রবিবার রাতে কমলনগর উপজেলার তিন শতাধিক নারী-পুরুষ-কিশোর-কিশোরীকে একত্রিত করা হয়। জেলার কমলনগর উপজেলার করইতলা বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
রাতেই স্থানীয়রা তাদেরকে ঘেরাও করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে তিনটি চেয়ারকোচ বাস ও চারটি মাইক্রোবাস জব্দ করে। এ সময় ১১ জনকে আটক করা হয়। তবে তাদের নাম পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনটি বাস ও চারটি মাইক্রোবাস জব্দ আছে। তবে মূল হোতাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তারা ঢাকায় আছে। মাঝে মাঝে এসে ফরম পূরণ করে চলে যায়।
পিপলনিউজ/আরইউ
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com