ঢাকা, বাংলাদেশ ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বোচ্চ ভোট পড়ে নবমে, ষষ্ঠে সর্বনিম্ন

Publish : 10:09 AM, 05 January 2024.
সর্বোচ্চ ভোট পড়ে নবমে, ষষ্ঠে সর্বনিম্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :

স্বাধীনতার পর থেকে দেশে মোট ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের হার ওঠানামা করেছে শুরু থেকেই। অতীতেও একাধিকবার দেখা যায় প্রধান বিরোধী দলগুলোর ভোট বর্জনের সংস্কৃতি। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। আর সবচেয়ে কম ভোট পড়ে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ভোটের হার ছিল মাত্র ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকার গঠন করে বিএনপি সংসদে ছিল মাত্র চারদিন।

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবার নির্বাচনে নেই প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সমমনা আরও কয়েকটি ছোট দলও ভোট বর্জন করেছে। ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে সব ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে তারা। এমন প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই সুষ্ঠু ভোট করতে চাইছে আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রে ভোটার আনাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছে দলটি। এজন্য দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেউ নির্বাচন করতে চাইলেও তাকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালও ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে দেশের বিভিন্ন জেলায় সফর করেছেন। অন্য কমিশনাররা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগগুলোয় পর্যায়ক্রমে সফর করছেন। লক্ষ্য একটাই- মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি করে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করা।

বিগত ১১টি নির্বাচনে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে নানান ধরনের পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য এসেছে। প্রতিটি নির্বাচনে ভোটার বাড়ার সঙ্গে প্রার্থীদের জামানতও বেড়েছে। শুরুতে এক হাজার টাকা জামানত দিয়ে শুরু হয়ে বর্তমানে প্রার্থীদের জামানত দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার টাকায়। বিভিন্ন সময়ে বাড়ানো হয়েছে সংরক্ষিত নারী আসনও। প্রধান দলগুলোর ভোট বর্জনের সংস্কৃতিও নতুন নয়।

এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কেমন ছিল বিগত ১১টি সংসদ নির্বাচন

প্রথম সংসদ নির্বাচন

স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। দিনটি ছিল বুধবার। অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ছিল ১৪। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৯১ জন। ভোটার ৩ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৬৪২ জন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল এক কোটি ৯৩ লাখ ২৯ হাজার ৬৮৩ জন। মোট ভোট পড়েছিল ৫৫ শতাংশ। প্রথম এ নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত ছিল এক হাজার টাকা।

অংশগ্রহণকারী ১৪ দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে এককভাবে পেয়েছিল ২৯২টি আসন। সংরক্ষিত নারী আসন ছিল ১৫টি। এ নির্বাচনে দলটির ১১ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাকি দলগুলোর মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল তিনটি, ন্যাপ (ভাসানী) একটি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ একটি এবং স্বতন্ত্র তিনজন প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ সংসদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অধীনে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার)। ২৯টি রাজনৈতিক দল এতে অংশ নেয়। প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ২১২৫ জন। মোট ভোটার ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৮। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১ কোটি ৯৬ লাখ ৭৬ হাজার ১২৪। মোট ভোট পড়েছিল ৫১ দশমিক ১২ শতাংশ। প্রার্থীদের জামানত ছিল ২ হাজার টাকা।

নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে এককভাবে ২২০টি পায়। এর সঙ্গে তাদের বাড়ানো ১৫টিসহ সংরক্ষিত ৩০টি আসন যোগ হয়ে মোট আসন দাঁড়ায় ২৫০টি। ওই নির্বাচনে বিরোধী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পায় ৩৯টি আসন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ১২টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ৮টি, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ ৬টি, আওয়ামী লীগ (মিজান) দুটি, জাতীয় লীগ দুটি, গণফ্রন্ট দুটি, বাংলাদেশ গণতন্ত্রিক আন্দোলন একটি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, জাতীয় একতা পার্টি ও ন্যাপ (মোজাফফর) একটি করে আসন পায়। এছাড়া স্বতন্ত্র পাঁচজন এমপি নির্বাচিত হন। এ সংসদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শাহ আজিজুর রহমান এবং সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন আসাদুজ্জামান খান।

তৃতীয় সংসদ নির্বাচন

রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের অধীনে এ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালের ৭ মে (বুধবার)। এ নির্বাচনে ২৮টি দলের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ১৫২৭ জন। মোট ভোটার ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৯ জনের মধ্যে ভোট দেন ২ কোটি ৮৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৫০। ভোটের হার ছিল ৫৯ দশমিক ৫৮। জামানত ছিল ৫ হাজার টাকা।

বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও জাতীয় পার্টি ১৮৩ আসন লাভ করে সরকার গঠন করে। বিরোধী দলে ছিল আওয়ামী লীগ। তাদের প্রাপ্ত আসন ছিল ৭৬টি। বাকি দলগুলোর মধ্যে জামায়াত ১০টি, কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ৬টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ৫টি, মুসলীম লীগ ও জাসদ (রব) ৪টি করে, ওয়ার্কার্স পার্টি (নজরুল) ও জাসদ (সিরাজ) তিনটি করে, ন্যাপ (মোজাফফর) দুটি এবং স্বতন্ত্র চারটিসহ মোট ৩০০টি।

এ সংসদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চতুর্থ সংসদ নির্বাচন

রাষ্ট্রপতি এরশাদের অধীনে ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) চতুর্থ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ৮টি দলের অধীনে ৯৭৭ জন প্রার্থী অংশ নেয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অনেক দল অংশ নেয়নি। ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮২৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার ৮৫৮ জন। ভোট পড়েছিল ৫৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। জামানত ছিল ৫ হাজার টাকা।

এ সংসদেও জাতীয় পার্টি ২৫১টি আসন পায়। বাকি আসনগুলো পায় সম্মিলিত বিরোধী দল ১৯টি, জাসদ (সিরাজ) তিনটি, ফ্রিডম পার্টি দুটি এবং স্বতন্ত্র ২৫টি। এ সংসদের সংরক্ষিত আসন ছিল ৩০টি। প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও কাজী জাফর আহমেদ এবং বিরোধীদলীয় নেতা আ স ম আবদুর রব।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ২৫টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ছিলেন ২৭৮৭ জন। ৬ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ৭৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৮০৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট পড়ার হার ৫৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। প্রার্থীদের জামানত ছিল ৫ হাজার টাকা।

এ নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং তার দল বিএনপি আসন পায় ১৪০টি, বিরোধী দলে থাকা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ পায় ৮৮টি, জাতীয় পার্টি ৩৫টি, সিপিবি ও বাকশাল ৫টি করে, ন্যাপ (মোজাফফর), জাসদ (সিরাজ), এনডিপি, ইসলামী ঐক্যজোট, ও গণতান্ত্রিক পার্টি একটি করে, জামায়াত ১৮টি (সংরক্ষিত-দুটি) এবং স্বতন্ত্র তিনটি।

ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন

এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। অংশগ্রহণকারী ৪২টি দলের প্রার্থী ছিলেন ১৪৫০ জন। ৫ কোটি ৬৭ লাখ ২ হাজার ৪১২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮১ জন। ভোট পড়েছিল মাত্র ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

আওয়ামী লীগসহ অনেকে অংশ না নেওয়ায় এ সংসদের বিরোধী দল ছিল না। মাত্র চারদিন সংসদ ছিল। অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে বিএনপি পায় ২৭৮টি (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৮ জন), ফ্রিডম পার্টি একটি ও স্বতন্ত্র ১০টি। এ সংসদের রাষ্ট্রপতি ছিলেন আবদুর রহমান বিশ্বাস এবং প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন এ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ৮১টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। প্রার্থী ৫৭২ জন। ৫ কোটি ৬৭ লাখ ২ হাজার ৪১২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৪ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৫৭৬ জন। মোট ভোট পড়ে ৭৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। সব দলের অংশগ্রহণে এ নির্বাচন হয়। জামানত ছিল ৫ হাজার টাকা।

দীর্ঘদিন পর এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪৬ (সংরক্ষিত-৩০) আসনে এবং জোট নিয়ে সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। বিরোধী দলের নেতা হন খালেদা জিয়া। তার দল বিএনপি এ নির্বাচনে আসন পায় ১১৬টি। বাকি আসনগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টি ৩২টি, জামায়াত তিনটি, ইসলামী ঐক্যজোট, জাসদ (রব) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একটি করে আসন পান।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অংশ নেয় ৫৫টি দল। প্রার্থী ১৯৩৯ জন। ভোটার ৭ কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৪ জন। ভোট দেয় ৫ কোটি ৬১ লাখ ৮৫ হাজার ৭০৭ জন। ভোট পড়ার হার ছিল ৭৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। প্রার্থীদের জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা।

তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ নির্বাচনে তার দল আসন পায় ১৯৩টি (সংরক্ষিত-৩৬টি), বিরোধী দলে থাকেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার দল আওয়ামী লীগ আসন পায় ৬২টি, জামায়াত ১৭টি (সংরক্ষিত-৪টি), জাতীয় পার্টি (এন-এফ) চারটি, ইসলামী ঐক্যজোট দুটি (সংরক্ষিত-দুটি), জাতীয় পার্টি (ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট) ১৪ (সংরক্ষিত-৩টি), জাতীয় পার্টি (ম) ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ একটি করে এবং স্বতন্ত্র ছয়টি।

নবম সংসদ নির্বাচন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালুর পর সব শর্ত পালন করে ৩৯টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়। প্রার্থী ১৫৬৭ জন। ভোটার ৮ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩ জন। ভোট দেয় ৭ কোটি ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮৫ জন। ভোট পড়ার হার ছিল ৮৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ নির্বাচনের জামানত ছিল ১০ হাজার।

দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। তাদের প্রাপ্ত আসন ছিল ২৩০ জন (সংরক্ষিত-৪১ জন), বিএনপি ৩০ জন (সংরক্ষিত-৫), জাতীয় পার্টি ২৭ (সংরক্ষিত- ৪ জন), জাসদ ৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ২, জামায়াত ২, বিজেপি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি একটি করে এবং স্বতন্ত্র চারটি। এ সংসদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

দশম সংসদ নির্বাচন

বিএনপিসহ কয়েকটি দলের বর্জনের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ১১টি দল অংশ নেয়। একতরফা নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এ নির্বাচনে তার দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৭, এর মধ্যে ১৪৭ আসনে ভোট পড়ে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৭। মোট ভোট পড়ার হার ৪১ শতাংশ। ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন।

একাদশ সংসদ নির্বাচন

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোট পড়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ। ২৯৮টি আসনের ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হন ২৫৯টি আসনে। তাদের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৮৮ আসন। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হয়। কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল বিএনপি। শেষ নির্বাচনে সারাদেশে ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪০ লাখের বেশি। সেই হিসেবে ৮০ শতাংশ ভোটের হার ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল।

দ্বাদশ নির্বাচন বিভাগের অন্যান্য খবর

Follow Us

প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা

© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, ইসলামাবাদে ডি-চক রণক্ষেত্র শিরোনাম সংবিধান সংস্কার কমিশনে বিএনপির লিখিত ৬২ প্রস্তাব শিরোনাম চট্টগ্রামে সংঘর্ষে আইনজীবী নিহত শিরোনাম চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে যা বলল ভারত শিরোনাম কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ৭ শিরোনাম চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কারাগারে