‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ না থাকার অভিযোগে এবং আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধে অর্থ ছড়ানোর অভিযোগ এনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)- প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকালে নিজের বাসায় প্রেস ব্রিফিং করে এ ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তাঁর কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
শামছুল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, ভোটের অধিকার রক্ষার্থে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে অনেক জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে কাজ করছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও প্রচারণায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগে প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। কেউই নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না। এটি একটি পাতানো ফাঁদ। তাই এই ফাঁদ থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম।
এর আগে সোমবার (১ জানুয়ারি) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সিলেট বিভাগের দুই প্রার্থী। তারা হলেন- হবিগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ ও হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাস ভবনে একইভাবে প্রেস ব্রিফিং করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন গাজী মোহাম্মদ শাহেদ। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
এই আসনের বর্তমান এমপি শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী তার আপন ভাই। এই আসনে এমপি ছিলেন তাঁর পিতা- বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর সাবেক মন্ত্রী মরহুম দেওয়ান ফরিদ গাজী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আওয়ামী লীগ থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির মুনিব বাবুকে সমর্থন করায় তাঁর সমর্থনে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীককে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
অপরদিকে, হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পালও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
শংকর পাল বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব রয়েছে। আছে ক্ষমতাসীনদের পেশীশক্তির প্রভাব।
প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা
© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com