ঢাকা, বাংলাদেশ ২০ অক্টোবর, ২০২৪

খেলাপি ঋণ দুই লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

Publish : 03:24 PM, 08 September 2024.
খেলাপি ঋণ দুই লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক :

খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিতে আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা বেড়ে প্রথমবারের মতো দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত জুন শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।

আর্থিক খাতের বিষফোঁড়া বলা হয় খেলাপি ঋণকে। এই ফোঁড়া নিরাময়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উল্টো নানা সুবিধা দিয়ে গেছে। ফলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।

এদিকে ২০২৩ সালের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বা ৩৫ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হালনাগাদ বিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুন মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
তিন মাস আগে মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার পতনের আগেই আইএমএফের শর্ত মেনে গত মার্চ থেকে কৌশলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর সুযোগ কমে এসেছে। আবার তদারকি শিথিলতার কারণে এতদিন জালিয়াতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণ আর ফেরত আসছে না। সরকার পতনের পর এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ ঘরনার ব্যবসায়ীদের অনেকেই পালিয়েছেন। এতে করে খেলাপি ঋণ আগামীতে আরো বাড়তে পারে বলে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন।
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের জন্য বিভিন্ন শর্ত দিয়েছে সংস্থাটি। তাদের শর্ত মেনে ২০২৬ সালের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পাঁচ শতাংশের নিচে এবং সরকারি ব্যাংকের ১০ শতাংশের নিচে নামানোর কথা। তবে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে এখনকার মতো নীতি সহায়তা রাখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।

ব্যাংকাররা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে সুশাসন ও খেলাপি ঋণই বর্তমান ব্যাংকিং খাতের বড় সমস্যা ছিল। ব্যাংক খাতে সুশাসন না থাকার কারণে দিন দিন খেলাপি বেড়েছে। এ সমস্যা মোকাবিলায় ঢালাওভাবে ছাড় দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পাশাপাশি খেলাপি ঋণের তথ্য গোপনেরও একটি প্রচেষ্টা ছিল। সবমিলিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খেলাপি তথ্য গোপন না করায় হঠাৎ এই সূচকে বড় লাফ দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৯ হাজার ৯২১ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের সাত দশমিক ৯৪ শতাংশ। রাষ্ট্রের বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২২৯ কোটি টাকা বা বিতরণকৃত ঋণের চার দশমিক ৭৪ শতাংশ।

পিপলনিউজ/আরইউ

অর্থনীতি বিভাগের অন্যান্য খবর

Follow Us

প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা

© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শিরোনাম খামেনির ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল শিরোনাম পাকিস্তানের সঙ্গে ড্র করে সাফে টিকে রইল বাংলাদেশ শিরোনাম হাজারীবাগে ভবন নির্মাণে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ১ শিরোনাম ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী বাবু গ্রেপ্তার শিরোনাম ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১২৬৩ মামলা, জরিমানা প্রায় ৫১ লাখ টাকা