ঢাকা, বাংলাদেশ ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের কী কারণ

Publish : 02:35 AM, 17 September 2024.
পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের কী কারণ
সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক :

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে নতুন করে দেশের পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে। এ নিয়ে বিগত কিছুদিন উত্তপ্ত ঢাকার সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর ও জিরানির অনেক পোশাক কারখানা। কর্তৃপক্ষ শ্রমিক অসন্তোষ ঠেকাতে বাধ্য হয়ে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে। তারপরও সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। অনেক স্থানে শ্রমিকরা কারখানায়ও ভাঙচুর চালান। 

পোশাক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক স্থানেই উদ্দেশ্যমূলক শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অনেকে আবার নতুন সরকারকে বিপাকে ফেলতে এ শ্রমিক অসন্তোষ কৃত্রিম সৃষ্টি বলে জানান। অনেকের মতে, এতদিন ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণে ছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, সেটির নিয়ন্ত্রণ এখন নিতে চান বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এতে করেও অসন্তোষ ডালপালা মেলতে পারে। 

জানা যায়, বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের ১১৪ পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। বাকিগুলো শ্রমিকেরা উপস্থিত হয়েও কাজ না করায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর একজন পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বন্ধ থাকা ১১৪টি কারখানার মধ্যে ১১১টি সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকার। বাকি তিনটি কারখানা গাজীপুরের।

ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্দিষ্ট সময়ে অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে কারখানায় উপস্থিত হওয়ার পরও কাজ না করায় ৫৭টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ৫৪টি কারখানা বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ এসব কারখানার শ্রমিকেরা কাজ না করলে মজুরি পাবেন না।

জানা যায়, বিজিএমইএর নেতারা মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্ষদ সভা করে বুধবার কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তবে নেতাদের একটি অংশ আশুলিয়ার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রম আইনের নির্দিষ্ট ধারায় কারখানা বন্ধ রাখার কথা জানান। সে অনুযায়ী বুধবার কারখানা খোলা হয়নি।

উল্লেখ্য, বিজিএমইএর সদস্য কারখানার সংখ্যা দুই হাজার ১৪৪টি। বিজিএমইএর তথ্য বলছে, শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে মূলত গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায়।

শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, যারা পারছেন, তারা কারখানা চালাচ্ছেন। আর যারা পারছেন না, কারখানা ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। তবে শিল্পাঞ্চলের কোথাও থেকে কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি এ বি এম শামসুদ্দিন বলেন, এক বছর আগেই শ্রমিকদের পে কমিশন পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়েছে। নতুন এই সরকারের সময়ে একটা গ্রুপ সুযোগ নিতে চাচ্ছে। একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে কোন কঠোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মদতপুষ্ট বিজিএমইএর নেতারা এই বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কার্যকর ভুমিকা নিতে পারছে না। অন্যদিকে শ্রমিক সংগঠনগুলো বাইরের পয়সা নিয়ে শ্রমিকদের উষ্কে দিচ্ছেন। এতে যে আমাদের কত বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে সেটি তারা একবারও চিন্তা করছেন না। আমরা অর্ডার না পেলে শ্রমিকদের কি চাকরি থাকবে? এই অবস্থা চলতে থাকলে বায়ররা তো অন্য কোথাও শিফট হয়ে যেতে পারেন।

বিজিএমইএর আরেক সাবেক সহ-সভাপতি মশিউল আযম সজল বলেন, ড. ইউনূসের মতো একজন মানুষ আমাদের দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন, সেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু তাকে বেকায়দায় ফেলতে বহু মানুষ চেষ্টা করছেন। আমাদের বছরে ৪৪ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট করতে হয়। এতে মাসে গড়ে তিন দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্টের প্রয়োজন হয়। সেই হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট করতে পারিনি। তাহলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে কীভাবে? আমাদের এমন অস্থিরতা চলতে থাকলে আশপাশের দেশগুলো কি বসে থাকবে? এক্ষেত্রে যে তাদের ইন্ধন নেই সেটিও বা বলবেন কীভাবে? আমরা যদি আমাদের নিজেদের ভালো বুঝতে না পারি, তাহলে কে আমাদের বোঝাবে?

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার বলেন, আমরা কিন্তু শ্রমিকদের বোঝাচ্ছি, তোমরা আবেগ একটু কন্ট্রোল করো। এখন এই দাবি আর আবেগ যদি কন্ট্রোল না হয়, সেক্ষেত্রে আমরা যদি কাজ না করি তাহলে ব্যবসা তো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এখানে অস্থিরতা দেখিয়ে বাজার অন্যদিকে নেওয়ার যে প্রোপাগান্ড চলছে সেটি তো কোনো কোনো বায়ার বিশ্বাসও করতে পারেন। এতে তো আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমার মনে হচ্ছে, এটিতে কারো কন্ট্রোল নেই। অনেকটা মব জাস্টিসের মতো হয়ে যাচ্ছে। শুধু যদি দাবির কথা বলেন, সেখানে আহামরি কিছু নেই যে বাস্তবায়ন করা যাবে না। প্রত্যেকটা গার্মেন্টস পৃথকভাবে দাবি মানছে, সেটি না করে যদি তারা সমন্বিতভাবে ঘোষণা দেন সেটি আরো অনেক বেশি কার্যকর হবে বলে আমার মনে হয়।

শনিবারের মধ্যে শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে : বিজিএমইএ

আগামী শনিবারের মধ্যে আরএমজি এবং নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। একই সঙ্গে এই সময়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অর্ডার অন্য দেশে চলে গেছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আরএমজি এবং নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার কারখানাগুলো সুন্দরভাবে চালু হয়েছে। কিন্তু একটি বড় প্রতিষ্ঠানের মঙ্গলবার বেতন দেওয়ার কথা ছিল। দিতে না পারায় বুধবার দুপুর থেকে ওই কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে আশপাশের কিছু কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে সেই কারখানার শ্রমিকরা বেতন পাওয়ার কথা। আগামী শনিবার থেকে সব কারখানা নিরবচ্ছিন্নভাবে স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে।

শ্রমিক অসন্তোষে কতগুলো কারখানা আক্রান্ত হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আশুলিয়া, জিরাবো, জিরানী জোনে ৪০৮টি কারখানা রয়েছে। গত কয়েক দিনের শ্রমিক অসন্তোষে এ সমস্ত এলাকার ৪০ থেকে ৬০টি কারখানা বন্ধ আছে। কিছু বন্ধ রেখেছে ইচ্ছাকৃত আর কিছু শ্রমিক অসন্তোষের জন্য।

তিনি বলেন, গত পরশুদিন আমরা আশুলিয়ার কারখানা মালিক ও শ্রমিকসহ একটি সভা করেছি। সেখানে শ্রমিকরা চারটি বিষয়ে সমাধানের কথা বলেছে। মালিকপক্ষ তা তখনই সমাধান করে দিয়েছে। তার মধ্যে কারখানায় চাকরির ক্ষেত্রে একটি দাবি উঠেছিল পুরুষদের ৭০ শতাংশ এবং নারীদের ৩০ শতাংশ নিয়োগ দিতে হবে। অথচ বায়ার বলেছে নারীদের বেশি দিতে হবে। তখন আমরা বলেছি দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এটি তারা মেনে নিয়েছে। এরপর ছিল টিফিনের দাবি এবং উপস্থিতির বোনাস দাবি, তাও মেনে নেওয়া হয়েছে।

রপ্তানিতে কেমন প্রভাব পড়তে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রপ্তানিতে তো প্রভাব অবশ্যই পড়বে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মালিক-শ্রমিকের সমর্থন ছিল, কারখানাগুলো বন্ধ ছিল। এরপর বন্যার কারণে চট্টগ্রামে পণ্য শিপমেন্ট করতে পারেনি। এতে অনেক কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা বায়ারদের অনুরোধ করেছি যাতে ক্ষতির পরিমাণ মিনিমাম রাখা যায়। তারপরও অনেক বড় গ্যাপ হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, গার্মেন্টস খাত সিজনাল ব্যবসা, আজ ঠিক করা হয় তিন মাস পর কোন পণ্যটা বাজারে আসবে। তাই এই একটা সিজনে সমস্যার কারণে বায়াররা অন্য স্থান থেকে সোর্সিং করছে। এতে করে আমাদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অর্ডার অন্য দেশে চলে গেছে। অবশ্যই আমরা এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।

অস্থিরতার পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে: বিটিএমএ

আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুরসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোর পোশাক কারখানাতে সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন টেক্সটাইল শিল্প উদ্যোক্তারা। বুধবার রাজধানীর পান্থপথে ইউটিসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) নেতরা। দুপুরে বিটিএমএর বোর্ড সভার আগে দেশের টেক্সটাইল শিল্প খাতের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারা। 

এ সময় বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, আমাদের টেক্সটাইল মিলের মালিকরা শত অসুবিধা সত্ত্বেও সময়মতোই সব বেতন ভাতা পরিশোধ করছেন। কিন্তু আমরা এখন ষড়যন্ত্রের মধ্যে পড়ে গেছি। কারখানাগুলোর সামনে পঞ্চাশ-একশজনের বহিরাগত দল এসে উত্তেজনা তৈরি করে। এদের দমনে প্রশাসনকে আন্তরিক হতে হবে। 

এ সময় পোশাক খাতের অস্থিরতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিটিএমএ নেতারা বলেন, দেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতে অস্থিরতা চলছে। এর পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে। আমাদের কাছে এর প্রমাণও রয়েছে।

তারা আরো বলেন, স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ কারখানাগুলোর সামনে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় ইন্ধন দিচ্ছে। এর আগে ২০০৬ সালেও দেশের কারখানাগুলোয় অস্থিরতা তৈরি করা হয় বিদেশি ষড়যন্ত্রে। এরই পুনরাবৃত্তি এখনো ঘটছে। 

বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্টরা কারখানাগুলোতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও আগুন লাগানোর পেছনে জড়িত উল্লেখ করে বিটিএমএ নেতারা বলেন, এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কোনো কোনো আইডি থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিল্পাঞ্চলগুলোতে অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে ভাঙচুর শুরু করা হয়। একই ধরনের লাঠি ও হ্যামার হাতে একটি গ্রুপ কারখানাগুলোতে ভাঙচুরের চেষ্টা চালাচ্ছে।

বিটিএমএ নেতারা বলেন, তাদের কাউকেই স্থানীয়রা এবং কারখানার শ্রমিকরা চেনেন না। এরাই হলো বিদেশি এজেন্টদের লোক। যাদের কেউ চেনে না। কারখানায় অসন্তোষ দেখা দিলেও শ্রমিকরা কখনই কারখানার মেশিন ভাঙচুর করেন না। কিন্তু এই অচেনা দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারীদের উদ্দেশ্যই থাকে কারখানার মেশিনকে ক্ষতিগ্রস্থ করা। 

বিগবস পোশাক কারখানায় আগুন, শ্রমিকদের তোপের মুখে ফায়ার সার্ভিস

গাজীপুরের কাশিমপুরে বেক্সিমকো গ্রুপের পোশাক তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান বিগবস কারখানার একটি গুদামে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। বুধবার দুপুরে একদল বিক্ষুব্ধ শ্রমিক গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে কারখানার আশেপাশে অবস্থান নেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদেরকেও তাড়িয়ে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে বকেয়া বেতনের দাবিতে বেক্সিমকো কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক আন্দোলন শুরু করেন। একপর্যায়ে নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বিগবস নামে একটি কারখানার গুদামে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আমাদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করলে কর্মীরা চলে আসেন। পরে আমরা সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছি।

পিপলনিউজ/আরইউ

অর্থনীতি বিভাগের অন্যান্য খবর

Follow Us

প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা

© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, ইসলামাবাদে ডি-চক রণক্ষেত্র শিরোনাম সংবিধান সংস্কার কমিশনে বিএনপির লিখিত ৬২ প্রস্তাব শিরোনাম চট্টগ্রামে সংঘর্ষে আইনজীবী নিহত শিরোনাম চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে যা বলল ভারত শিরোনাম কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ৭ শিরোনাম চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কারাগারে