ঢাকা, বাংলাদেশ ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

পোশাক খাতে অস্থিরতা কাটছে না

Publish : 11:35 PM, 04 October 2024.
পোশাক খাতে অস্থিরতা কাটছে না
সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের অর্থনীতি সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে দুটি বিষয়ের ওপর। এর একটি প্রবাসী আয় আর অন্যটি গার্মেন্টস খাত। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা। এরপর এই পোশাক শিল্পই দেশের অর্থনীতির মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দেশের মোট জিডিপির ১০ শতাংশ আসে পোশাক খাত থেকে। এরমধ্যে কেবল গত বছরই ৫৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে ঢাকা। বিশ্বে পোশাক রপ্তানির দিক দিয়ে বাংলাদেশের উপরে আছে চীন।

তবে গত জুলাই ও আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের চাকা থমকে যায়। শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে আন্দোলন শেষ হলেও এখনো এই খাতে অস্থিরতা রয়ে গেছে। পোশাক শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার কারণে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া গ্যাস সংকটের কারণেও কমেছে উৎপাদন।

অনেকেই বলছেন, বর্তমান শ্রমিক অসন্তোষ দৃশ্যত শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার বিষয় হলেও অদৃশ্য অনেক কিছু তাতে কাজ করছে। অর্থনীতিবিদসহ পোশাক সংশ্লিষ্টদের যুক্তি, নতুন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটি গোষ্ঠী কৃত্রিম শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। সরকারের পালাবদলের পর ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণও পোশাক খাতে অস্থিরতার একটি কারণ। 

এদিকে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষ কেটে যাবে।

অন্যদিকে এদিনই শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান শ্রমিক অসন্তোষে অন্য কোনো শক্তি কাজ করছে বলে ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর বহু শিল্প মালিক দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। এ কারণে সেসব প্রতিষ্ঠানে বেতন পরিশোধ হচ্ছে না। যে কারণে অসন্তোষ থামছে না। শ্রমিক কখনো তার কর্মস্থলে আগুন দিতে পারে না, বাইরের অপশক্তিতে এসব হচ্ছে।

শিল্প সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, শ্রমিকরা কখনো নিজ গার্মেন্টসের মেশিনে আগুন দেন না। এখন তাই ঘটছে। এতে বুঝা যায় তারা বহিরাগত। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার শুধু ঢাকার আশুলিয়াতে ২১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ থাকে। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, ২১৯টি কারখানার মধ্যে ৮৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাকি ১৩৩টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার গাজীপুরে আটটি পোশাক কারখানা বন্ধ থাকে; ৩০টিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

অবশ্য ভালো খবর, আশুলিয়া, সাভার কিংবা গাজীপুরের কোথাও কোনো সড়ক অবরোধ, কারখানায় হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি বৃহস্পতিবার। বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, সাভার-আশুলিয়ায় ৪৫০টি তৈরি পোশাক কারখানা আছে। 

ক্ষুদ্র এ ভালো খবরের মাঝে ভয়ের খবর দিয়েছে, ব্রিটেনের দি ইকোনমিস্ট। একটি প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশের পোশাকের বাজার ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিবেশি ভারত। প্রতিযোগিতার বাজারে এ চেষ্টা খারাপ নয় বলে জানান পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সেই সুযোগ তাদের দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে জানান তারা। বর্তমান শ্রমিক অসন্তোষের নামে কারখানা বন্ধ থাকা ভারতকে সেই সুযোগ দিতে প্ররোচিত করবে। 

এদিকে বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক হাফিজুর রহমান দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে শ্রমিক, মালিক ও সরকারের সম্মিলিত উদ্যোগে বন্ধ পোশাক কারখানাগুলো দ্রুত চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

আশুলিয়ায় ২১৯ পোশাক কারখানা বন্ধ: আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, বৃহস্পতিবার শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোনো সড়ক অবরোধ, কারখানায় হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগে থেকেই কিছু কারখানায় অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। সে সব কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফেরেননি। তিনি বলেন, এ ছাড়া সকালেও বেশ কিছু কারখানার শ্রমিক কারখানায় প্রবেশের পর কর্মবিরতিসহ কারখানা থেকে বের হয়ে গেলে সব মিলিয়ে শিল্পাঞ্চলের ২১৯টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

শিল্পাঞ্চলে যেকোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পুলিশ ও কারখানা মালিক সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনের টানা শ্রমিক অসন্তোষের মুখে মঙ্গলবার থেকে কারখানাগুলোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করতে শুরু করে মালিকপক্ষ। সবশেষ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৮৬টি কারখানার কর্তৃপক্ষ ফটকের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দেয়। এ ছাড়া কাজ না করে কর্মবিরতিতে যাওয়ায় আরো ১৩৩টিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ছুটি দেওয়া কারখানার শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যান। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

গাজীপুরে ৮ পোশাক কারখানা বন্ধ, ৩০টিতে ছুটি ঘোষণা: শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে গাজীপুরে আটটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ৩০টি পোশাক কারখানায়। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘোষণা দেয় সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কারখানা মালিক সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন দাবিতে গত কয়েক দিন গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। বিক্ষোভের জেরে অনেক সময় কারখানায় ভাঙচুর, কারখানার কর্মকর্তাদের মারধরসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়ছেন। আর এ সুযোগে কিছু বহিরাগত কারাখানায় লুটপাট বা অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছেন। এতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বা ঝামেলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে কারাখাগুলোর কোনোটিতে সাধারণ ছুটি বা কোনোটি বা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দ্রুত সময়ে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে আসবে-শ্রম উপদেষ্টা: দ্রুততম সময়ের মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, শ্রমিকদের অসন্তোষ নিয়ে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উপদেষ্টারা বসছি। বুধবারও আমরা বসেছিলাম, সেখানে ছয় জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বসে থাকা অবস্থায় একটি বড় কোম্পানি বেতন দিতে না পারার কারণে সেখানে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সেসময় আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলে ৭৯ কোটি টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে সেই বেল্টের ৪০ হাজার শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেজন্য শ্রমিক অসন্তোষ কম আছে।

তিনি বলেন, এরপরও আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের জন্য একটি পর্যালোচনা কমিটি শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে করে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি শ্রম ভবনে বসবে। আমরা শ্রমিক ভাইদের আহ্বান জানাবো, যে কোনো অভিযোগ যেগুলো নিষ্পত্তিযোগ্য তারা শ্রম আইনের মধ্যে সমাধান করতে পারবেন- সেগুলো সেখানে দেওয়ার জন্য বলেছি।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, কমিটিতে শ্রমিক নেতারা আছেন, মালিকপক্ষ আছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের দুইজন আইনজীবী আছেন- যারা শ্রম আইন নিয়ে কাজ করেন। তাদের কাছে অভিযোগগুলো দিলে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতে এগুলো সমাধান করতে পারি সেজন্য মূলত আমাদের বর্তমান যে কমিটি তার বাইরে গিয়ে একটি রিভিউ কমিটি করে দেবো। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে যে শ্রমিক অসন্তোষ আছে সেটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। শ্রমিকদের যেসব সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধান দিতে পারবো।

ঝুট ব্যবসার দ্বন্দ্বে শ্রমিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে-শ্রম সচিব: শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গী শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তনে শ্রম অসন্তোষ ও শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন। টঙ্গীতে শিল্প মালিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে ঝুট ব্যবসার দ্বন্দ্বে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে শিল্প নগরীতে অসন্তোষ কাটছে না।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশ শ্রমিক অধিকার ১০০-তে ১০০ নিশ্চিত করতে পারেনি। আমাদের এখানে রাতারাতি সব সমস্যা সমাধান সম্ভব না। শ্রমিকদের অনেক দাবি যৌক্তিক, মালিকরা চাইলে পূরণ করতে পারেন। আবার কিছু দাবি এখনই বাস্তবায়ন যৌক্তিক না। ন্যূনতম মজুরি এখনই দ্বিগুণ করার দাবি বাস্তবসম্মত কিনা, সেটিই আমার প্রশ্ন।

অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে বন্ধ পোশাক কারখানা দ্রুত চালুর আহ্বান: ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে সংগঠনটির প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন। এ সময় হাফিজুর রহমান বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে বন্ধ এসব পোশাক কারখানা দ্রুত চালু করতে হবে। এজন্য শ্রমিক, মালিক ও সরকারের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। 

এদিকে শ্রম অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাধারণত পাঁচ বছর পর মজুরি সমন্বয় করা হলেও এবার তা আগেই করার কথা জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার সচিবালয়ে ‘শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সবচেয়ে বড় কথা অন্তর্বর্তীকারীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেও পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষের কথা বলেছেন। তিনি সবকিছুর সমাধান করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, কলকারখানাসহ সকল ক্ষেত্রে শ্রমিক-মালিক সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, আমার একটি বড় আশা, যে মেয়াদকালে আমরা এখানে থাকব, শ্রমিক-মালিকের সম্পর্ক সুন্দরভাবে গড়ে তোলব।

পিপলনিউজ/আরইউ

অর্থনীতি বিভাগের অন্যান্য খবর

Follow Us

প্রকাশক ও সম্পাদক
জাহিদুল ইসলাম
বার্তা সম্পাদক
সোহেলী চৌধুরী লিন্ডা

© 2024 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || peoplenewsbd.com

Develop by _ DigitalSolutions.Ltd
শিরোনাম বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান, ইসলামাবাদে ডি-চক রণক্ষেত্র শিরোনাম সংবিধান সংস্কার কমিশনে বিএনপির লিখিত ৬২ প্রস্তাব শিরোনাম চট্টগ্রামে সংঘর্ষে আইনজীবী নিহত শিরোনাম চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে যা বলল ভারত শিরোনাম কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ৭ শিরোনাম চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কারাগারে